Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চান?


কনটেন্ট বানাতে চান?

কিন্তু কী দিয়ে শুরু করবেন ভেবে পাচ্ছেন না?

তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। 

হিরো আলমের কথাই ধরা যাক। তার নামের পাশে কনটেন্ট ক্রিয়েটর লেখা থাকে। আসলে তিনি কী বানান? কী কারণে তাকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলা হয়। কেন তাকে নিয়ে এত আলোচনা?

এবার আসুন তাহলে একটা আলোচনা করা যাক। 

ইউটিউব ফেসবুক একটা এলগরিদমে চলে। ধরেন, আপনি রেগুলার ভাত খান, তাইতো? তাহলে এক কাজ করেন। প্রতিদিন কী দিয়ে ভাত খাচ্ছেন তার  একটা ভিডিও করেন। আপনার মোবাইল দিয়েই ভিডিওটা করেন। ভিডিও করার সময় ভিডিওতে ধারাবর্ণনা দেন। ধরেন কী দিয়ে খাচ্ছেন- মাছ মাংস কোথা থেকে কিনলেন, দাম কেমন ইত্যাদি। আপনার বউয়ের রান্না কেমন? এইসব বর্ণনা দিয়ে একটা তিন মিনিটের ভিডিও করেন। তারপর সেটা ফেসবুক বা ইউটিউবে আপলোড করেন। ইউটিউব বা ফেসবুকে আপলোডের সময় কিছু বিষয় বা নিয়ম মেনে আপলোড দিন। 

একটা টাইটেল নির্ধারন করুন। ধরেন পদ্মার ইলিশে জম্পেশ খাবার। অথবা পদ্মার ইলিশ ও নতুন বউয়ের খিচুরি। দারুণ জম্মেশ! ইত্যাদি। এইসব লিখে ফেসবুকে আপলোড দিন। ইউটিউবেও দিন। এভাবে প্রতিদিন বানান। দুটো করে ভিডিও। তারপর দেখুন কী ঘটে। 

অর্থাৎ ইউটিউবে ২৪-২৫ টি ভিডিও একটানা আপলোড করুন। 

ফেসবুকেও সপ্তাহে ৩-৪ টি ভিডিও আপলোড করুন। তারপর দেখুন কী ধামাকা!

ইউটিউবে আপনার একাট ভিডিও ভাইরাল। সেটা আপনার সবচেয়ে ভালো ভিডিওটা যে ভাইরাল হলো ব্যাপারটা তা না। একটা মোটামুটি মানের ভিডিও ভাইরাল হবে। নিশ্চিত। 

আপনি এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটর। মানে আপনার ধৈর্য্য কেমন- সেটা ইউটিউবের এলগরিদমে ধরা পড়েছে। অর্থাৎ আপনি যে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সেটা ইউটিউব বা ফেসবুক বুঝে ফেলেছে। ইউটিউব বা ফেসবুকে এই যে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ভিডিও এগুলো আসলে কার? কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের। 

ইউটিউব বা ফেসবুক চায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। সে এআই দিয়ে বুঝতে পারে কার আইডি থেকে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড হচ্ছে। তাকে সে সাথে রাখতে চায়। ফলে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোডকারীকে সহযোগিতা করার জন্য তার ইউজারদের একটি ভিডিও বুস্ট করে দেয়। 

বুস্ট মানে সে তার ইউজারদেরকাছে ভিডিওটি ফ্রিতে মার্কেটিং করে।  যদি ভিডিওটি ভালো লাগে তাহলে সে আপনার অন্যান্য ভিডিওগুলিও দর্শকের কাছে পৌঁছায় দিবে। আপনি দেখতে পারবেন আপনার পেজে হুহু করে ফলোয়ার বা চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ছে। 

একটা সময় আপনি ভিডিও দেয়া বন্ধ করলে দেখবেন চ্যানেলটি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনার জায়গাটি অন্য কেউ একজন দখল করে ফেলছে। 

এভাবে প্রতিদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে লক্ষ লক্ষ মানুষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যেমন যোগ দিচ্ছে আবার তেমনভাবে হারিয়েও যাচ্ছে। 

আপনি ইউটিউবে অনেক চ্যানের এনালাইসিস করে দেখলে ব্যাপারটা বুঝবেন। 

অর্থাৎ প্রতিদিন যেমন লক্ষ কোটি কনটেন্ট ক্রিয়েটর যুক্ত হচ্ছেন তেমনি ভাবে অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন অথবা কনটেন্ট নির্মাণে ব্যর্থ হচ্ছেন। 

এবার আসি হিরো আলমের কথায়। 

এই হিরো আলম একসময় অনেক গানের মিউজিক ভিডিও তৈরি করতেন। সেগুলো নিয়মিত ইউটিউবে আপলোড দেবার পর তিনি দেখলেন তার একটা দুটো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অর্থাৎ ইউটিউব সেটাকে বুস্ট করেছে। ইউটিউব দেখেছে হিরো আলম নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেছে। তারপর এইসব ভিডিও দর্শক মজা করে হলেও কিছুক্ষণ দেখেছে, এবং কনটেন্টগুলো শেয়ারও করেছে। ফলে ইউটিউবের এআই বুঝে ফেলেছে এই কনটেন্টগুলোতে হয়তো এমন কিছু রয়েছে যা দর্শকেরা পছন্দ করে। ফলে এই এলগরিদম হিরো আলমের অন্যান্য কনটেন্টগুলো দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।  

Post a Comment

0 Comments